নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ১৮ অক্টোবর শনিবার নন্দন ক্যাম্পাসের জীবনানন্দ সভাঘরে একটি সাহিত্যের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করেছিল লিটারারি, কালচারাল অ্যান্ড সোশ্যাল ফোরাম (LCSF)। সাহিত্য,শিক্ষা, সমাজসেবা ও সংস্কৃতির বিভিন্নক্ষেত্রের প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বদের সমাবেশে অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল এক অনুপ্রেরণাদায়ক আলোচনা ও উদযাপনের মঞ্চ।
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল “গীতা আচার্য পুরস্কার” প্রদান। পুরস্কার প্রদান করা হয় ড. সুরেশ কুমার আগরওয়াল-কে, যিনি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ লাইফস্টাইল মেডিসিন-এর পরিচালক। এই সম্মাননা প্রদান করা হয় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, বিশেষত আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক সাহিত্যক্ষেত্রে। ড. আগরওয়াল ভাগবত গীতার উপর তিনটি বহুল প্রশংসিত গ্রন্থের রচয়িতা, যেখানে তিনি গীতার চিরন্তন জ্ঞান ও আধুনিক জীবনের প্রেক্ষাপটে তার প্রয়োগ সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছেন। তাঁর রচনাসমূহ তাদের স্পষ্টতা, গভীরতা এবং সর্বজনীন আবেদন জন্য প্রশংসিত হয়েছে, যা গীতার শিক্ষার মাধ্যমে শান্তি ও আত্মবোধের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট অতিথি — বরিষ্ঠ সিএ বাসুদেব ঘোষ (ডিরেক্টর, রোটারি ক্লাব অফ কসবা), প্রফেসর ড. পার্থসারথি চক্রবর্তী (সিইও, এমসিকেভি গ্রুপ অফ কলেজেস), তাপস বিশ্বাস, পরিমল মালাকার, সঙ্গীতা দাস, দেবাশীষ চৌধুরী, বাসুদেও আগরওয়াল, প্রফেসর ড. সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, দীপক দীক্ষিত এবং অশীষ বসাক প্রমুখ। উপস্থিত সকল বিশিষ্টজনLCSF-এর সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ড. আগরওয়ালকে তাঁর জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার জগতে অনুপ্রেরণাদায়ক অবদানের জন্য অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ -আলোচনা এবং চিন্তনমূলক সেশনগুলির মাধ্যমে ভারতীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরএক সমৃদ্ধ চিত্র ফুটে ওঠে। সকলবিশিষ্ট অতিথি, অংশগ্রহণকারী ও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘটে। এক স্মরণীয় সন্ধ্যা, যা উৎসর্গিত ছিল সাহিত্য, শিক্ষা এবং শাশ্বত ভাগবত গীতার জ্ঞানের অনন্ত প্রেরণাকে।


