প্রিয়রঞ্জন কাঁড়ার : কলকাতা, ৩ অক্টোবর, ২০২৫। মৃত্যুর প্রতীক্ষারত জেলবন্দি ধনঞ্জয় চ্যাটার্জি একটা ইন্টারভিউতে বলেছিলেন, দেবীপক্ষের শুরু থেকেই বাইরের পৃথিবী থেকে কনডেমড সেলে ভেসে আসা ঢাকের শব্দে তাঁর খুব ভয় লাগে। ঢাকের শব্দে তিনি আসন্ন বিসর্জনের সুর শুনতে পেতেন। বিসর্জনের অনেক মানে। কোনওটা সুখের, কোনওটা দুঃখের। মণিকার্ণিকা শ্মশান ঘাটের বহ্নিমান চিতাগুলোও প্রতিদিন বিসর্জনের কথাই বলে।
আবার আত্মহত্যা করার ধ্বংসাত্মক উদ্দেশ্য নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়া যে মানুষ শেষ মুহূর্তে নেতিবাচকতার চক্রব্যূহ ভেদ করতে পারেন, তিনি জানেন, রিপুর বিসর্জন কত সুখের! ওষুধের মতোই জীবনের প্রত্যেকটা সুন্দর মুহূর্ত ও অনুভূতির একটা এক্সপায়ারি ডেট থাকে। কাল থেকে কিনু গোয়ালার গলি থেকে সব রঙিন আলো সরে যাবে। কিনু নিজেও পুজোর নতুন জামা-প্যান্ট ছেড়ে লুঙ্গি পরে ভোররাতে দুধ দুইবে, তাতে খানিক জল মিশিয়ে নিজের ‘প্রফিট’ বাড়াবে। প্রেম থেকে যৌনতা, ধান্দাবাজি-কোলাহল থেকে ঈশ্বর-সাধনা, প্রতিদিনের অভ্যাস-যাপনের সেঁকোবিষ গলায় ঢেলে আমরা প্রত্যেক নীলকণ্ঠ নিজেকে ‘অমৃতের সন্তান’ বলে দাবি করবো।
পাঠকদের শুভ বিজয়ার প্রীতি, শুভেচ্ছা ও প্রণাম।


