দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য : কলকাতা, ৭ মে, ২০২৫। এটা ভারতবর্ষেই সম্ভব। একজন ভারতীয় মহিলা সাংসদ যিনি লোকসভায় অধিবেশন চলা কালীন ঘুমের দেশে বিচরণ করেন দামী পোশাক সাথে ব্র্যান্ডেড ব্যাগ, প্রসাধন ছাড়া চলতে পারেন না, তিনি যখন দেশের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতে ভুল তথ্য পরিবেশন করেন এবং রাজনীতি করেন, ঠিক সেই সময় আর্মি এবং এয়ারফোর্সের তরফে প্রেস বিবৃতি করলেন দুই মহিলা অফিসার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও ভূমিকা সিং।
ভারতবর্ষ বুঝিয়ে দিলো যখন দেশের ব্যাপার আসে তখন জেন্ডার হোক বা রিলিজিয়ান, বাকি সব আইডেন্টিটি সেকেন্ডারি, সবার ওপর আমাদের একটাই আইডেন্টিটি আমরা ভারতীয়।
এটা মনে রাখা উচিত। যে ম্যাচুরিটি আর প্ল্যানিং দেশের ভারতীয় সেনা দেখিয়েছে তার যত তারিফ করা যায় ততটাই কম। যেভাবে ড্রোন মিসাইল দিয়ে বেছে বেছে জঙ্গি ঘাঁটি গুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেটা অত্যন্ত প্রশংসাজনক। বুঝতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে এখন দু দুটো যুদ্ধ একসঙ্গে করতে হচ্ছে, একটা পাকিস্তানের সঙ্গে আর একটা দেশের অভ্যন্তরে থাকা তথাকথিত সেকুলার ফোর্সের সঙ্গে যারা চব্বিশ ঘন্টা নজরদারি আর হাসি ঠাট্টা করে যাচ্ছে নিজেদের দেশের আর্মির সম্পর্কে, যার সঙ্গে কিছু কাংলাদেশিরাও জুটেছে। কিছু নিরীহ সিভিলিয়ান তো মারা যাবেই ভাই, ওরা এসে কাদের মেরে গেছিল। ওদের দেশে এতগুলো জঙ্গি ঘাঁটিই বা পাওয়া গেল কেন?
পাকিস্তান বারবার ভারতের সেনার হাতে নাক রগরে পরাস্ত হয়েছে, পৃথিবীতে ১৯৭১ সালের মতো ৯৩০০০ যুদ্ধবন্দি আর পরে তাদের মুক্তির নজির একমাত্র ভারতই দুনিয়াকে দ্যাখাতে পেরেছিল।
আর এখন ভারতে কোন সরকার আছে সেটা দ্যাখা জরুরি নয়, আমাদের প্রত্যেকের উচিত দেশের পাশে, দেশের সেনার সাথে থাকা। তবে পাকিস্তানের এখনো শিক্ষা হয়নি এবং হবেনা, ওরা আরো দুষ্কর্ম করবে,আমাদের প্রত্যেকের উচিত সে বিষয়ে আরো সতর্ক থাকা।
যাঁরা অপপ্রচার করছেন ঠান্ডা ঘরে বসে ভারতবাসীর ভোটে জিতে গিয়ে ভারতবাসীর করের টাকায় একটু চুপ করে বসুন।।অনেক হয়েছে আর নয়। – জয় হিন্দ- বন্দেমাতরম।।