চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় : পুরী, ৫ জুলাই, ২০২৫। আজ উল্টোরথ। সাতদিন পর গুন্ডিচা মন্দির অন্যমতে মাসির বাড়ি থেকে ফিরবেন জগন্নাথদেব। ধীরে ধীরে রথ এগিয়ে আসছে মন্দিরের দিকে। কথিত আছে মাসির বাড়ি থেকে পোড়া পিঠে খেয়েই ফের বাড়ির পথে রওনা দেবেন তিনি।
রথযাত্রার পরিক্রমা শেষে এবার উল্টোরথের পালা। পুরীতে শুরু হয়ে গিয়েছে উল্টোরথের প্রস্তুতি। এই দিন জগন্নাথদেব তাঁর মাসির বাড়ি থেকে নিজের মন্দিরে ফিরে আসেন। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার সেই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরেই পালিত হয় উল্টোরথের যাত্রা বা বহুরা যাত্রা বা পুনর্যাত্রা। রথযাত্রা ও হেরাপঞ্চমীর মতোই গুরুত্বপূর্ণ এক অনুষ্ঠান বলে মনে করা হয় একে। এই বছর উল্টোরথের তিথি, তারিখ, শুভ সময় কখন, আসুন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক।
রথযাত্রার পরিক্রমা শেষে এবার উল্টোরথের পালা। এই দিন জগন্নাথদেব তাঁর মাসির বাড়ি থেকে নিজের মন্দির প্রাঙ্গনে ফিরে আসেন। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার সেই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরেই পালিত হয় উল্টোরথের যাত্রা। রথযাত্রা ও হেরাপঞ্চমীর মতোই গুরুত্বপূর্ণ এক অনুষ্ঠান বলে মনে করা হয় একে। এই বছর উল্টোরথের তিথি, তারিখ, শুভ সময় কখন, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
উল্টো রথের কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। এটি সারাদিনব্যাপী পালন করা যেতে পারে। তবে বিভিন্ন মন্দির ও অঞ্চলভেদে এই অনুষ্ঠানের সময়সূচি ভিন্ন হয়। জগন্নাথ পুজোর প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসরণ করে সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় উৎসবের প্রস্তুতি। তার পর এক সময় জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রার রথ মাসির বাড়ি থেকে রওনা দেয়। জগন্নাথের নিজের বাড়ি ফিরে আসার অনুষ্ঠান বলেই নাম উল্টোরথ।
Thanks
উল্টোরথের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য
• জগন্নাথদেবের রথ নন্দীঘোষ , বলরামের রথ তালধ্বজ ও সুভদ্রার রথ দর্পদলন বা পদ্মধ্বজ এই দিন গুণ্ডিচা মন্দির থেকে যাত্রা শুরু করে জগন্নাথ মন্দিরের দিকে রওনা দেয়। মাসির বাড়ি থেকে ফেরার এই অনুষ্ঠানই উল্টোরথ নামে পরিচিত।
• উল্টোরথের পুজো পদ্ধতি
• বিগ্রহ স্থাপন: যদি বাড়িতে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার ছোট বিগ্রহ থাকে, তবে সেগুলিকে পরিষ্কার করে সাজিয়ে নিন। অনেকেই রথের দিন নতুন বিগ্রহ স্থাপন করেন।
• সঙ্কল্প: পূজা শুরুর আগে সঙ্কল্প করুন, অর্থাৎ কোন উদ্দেশ্যে পূজা করছেন তা মনে মনে স্থির করুন।
• আহ্বান: জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীকে আহ্বান করুন।
• আসনার্পণ: বিগ্রহগুলিকে আসনে স্থাপন করুন।
• বস্ত্র ও অলঙ্কার: নতুন বস্ত্র ও অলঙ্কার দিয়ে বিগ্রহগুলিকে সাজান। পুরীতে উল্টোরথের দিন “সুনাবেশ” পালিত হয়, যেখানে দেবতাদের সোনার গয়না পরানো হয়।
• পুষ্প ও তুলসী: ফুল, মালা ও তুলসী পাতা নিবেদন করুন। তুলসী পাতা জগন্নাথ দেবের অত্যন্ত প্রিয়।
• ধূপ ও দীপ: ধূপ ও প্রদীপ জ্বেলে আরতি করুন।
• নৈবেদ্য: বিভিন্ন ধরনের ফল, মিষ্টি, আর বিশেষভাবে পোড়া পিঠে জগন্নাথ দেবের খুব প্রিয়। মাসির বাড়ি থেকে ফেরার সময় তিনি পোড়া পিঠে খেয়ে আসেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
• আরতি ও মন্ত্রপাঠ: ভক্তিভরে আরতি করুন এবং জগন্নাথ দেবের মন্ত্র জপ করুন। “হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে” – এই মহামন্ত্রটি জপ করতে পারেন।