নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২১ আগস্ট ২০২৫: ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান মণিপাল হাসপাতাল কলকাতা আজ আয়োজন করল কলকাতার প্রথম সিনিয়র সিটিজেনস’ স্পোর্টস সামিট। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অরুণ লাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। মণিপাল হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসকরাও উদ্বোধনে যোগ দেন।
এই সামিটে ১০০-রও বেশি প্রবীণ নাগরিক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। তারা দাবা, কেরাম, মার্বেল-চামচ দৌড়, মিউজিক্যাল চেয়ার, ব্রেন টিজার, স্পেলিং বি সহ নানা খেলায় অংশ নেন। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রবীণদের ফিটনেস, মানসিক সজাগতা ও সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা এবং তাদের আনন্দমুখর পরিবেশে যুক্ত করা।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় একটি বিশেষ প্যানেল আলোচনা, যেখানে প্রবীণদের সর্বাঙ্গীন সুস্থতার গুরুত্ব নিয়ে মতবিনিময় করেন মণিপাল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। আলোচনায় অংশ নেন ডা. জয়ন্ত রায় (ডিরেক্টর ও হেড – নিউরোলজি, মণিপাল হাসপাতাল, কলকাতা), ডা. কুনাল সরকার (ডিরেক্টর – কার্ডিওভাসকুলার ও থোরাসিক সার্জারি, মুকুন্দপুর ক্লাস্টার), ডা. দেবরাজ জাশ (কনসালট্যান্ট – পালমোনোলজি, ব্রডওয়ে), ডা. শুভাশিস রায় চৌধুরী (কনসালট্যান্ট – কার্ডিওলজি, ব্রডওয়ে), ডা. বিনায়ক সিনহা (কনসালট্যান্ট – ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রিনোলজি, ব্রডওয়ে) এবং ডা. দেবাশিস চক্রবর্তী (কনসালট্যান্ট – অর্থোপেডিক্স, মুকুন্দপুর)।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মণিপাল হাসপাতালের বিভিন্ন শাখার বিশিষ্ট চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ডা. বিকাশ কাপুর, ডা. অরিন্দম পান্ডে, ডা. সুজয় দাশ ঠাকুর, ডা. চন্দ্রশীষ চক্রবর্তী, ডা. পারমিতা কাঁজিলাল, ডা. স্মিতা মৈত্র, ডা. জয়ন্ত দাস, ডা. দেবরাজ জাশ, ডা. শুভাশিস রায় চৌধুরী, ডা. বিনায়ক সিনহা এবং ডা. দেবাশিস চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডা. অয়নাভ দেবগুপ্ত, রিজিওনাল চিফ অপারেটিং অফিসার, মণিপাল হাসপাতাল – ইস্ট বলেন, “মণিপাল হাসপাতালে আমরা প্রতিটি বয়সের মানুষের জন্য সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রবীণ নাগরিকদের এইভাবে আনন্দের সঙ্গে খেলাধুলা করতে দেখে আমরা আশ্বস্ত যে বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা, যদি জীবনের প্রতি উৎসাহ অটুট থাকে। এ ধরনের অনুষ্ঠান প্রবীণদের আরও সামাজিকভাবে যুক্ত করে এবং তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা দেয় যে স্বাস্থ্যই আসল সম্পদ। বয়স কোনো বাধা নয়, বরং মর্যাদা, প্রতিশ্রুতি ও আনন্দে ভরপুর জীবনের এক নতুন অধ্যায়।”
কলকাতায় প্রথমবার অনুষ্ঠিত এই সিনিয়র সিটিজেনস’ স্পোর্টস সামিট প্রমাণ করল যে বয়স বাড়া মানেই আনন্দ, ফিটনেস বা সুস্থতা থেকে পিছিয়ে পড়া নয়। এটি কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং সুস্থ জীবন, বন্ধুত্বের বন্ধন এবং আনন্দময় স্মৃতির এক অনন্য উদযাপন।
